ঘরোয়া উপায়ে চুলে লাল বা ডার্ক ব্রাউন কালার কি ভাবে করবেন ?



চুলে রং করা বরাবরই একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ড। কেউ পুরো চুল রং করে এই ট্রেন্ড ফলো করেছেন কেউ বা হাইলাইট করে। আসলে চুলের সাজের উপর মুখের সৌন্দর্য অনেকাংশে নির্ভর করে। তাই মুখের সৌন্দর্যের পাশাপাশি আকর্ষণীয় চুলের রং কে না চায়! তবে সমস্যাটা হল যে, এই হেয়ার কালার করাতে গিয়ে চুলের হাল একদমই খারাপ হয়ে যায়। আর হবেই বা না কেন? চুলে রং করতে গিয়ে যে সমস্ত রাসায়নিক জিনিস ব্যবহার করা হয়, তাতে চুলের স্বাস্থ্য তো নষ্ট হয় অনেক সময় এই সব ক্যামিকেলের প্রভাবে চুল সাদাও হয়ে যায়। এই অভিজ্ঞতা অবশ্য আমারও আছে। একটা সময় আমি অনেক হেয়ার কালার ব্যবহার করেছি। কিন্তু কালার করার পর চুলের যে যত্ন নিতে হতো, সেটা আর পড়াশুনার চাপে নেওয়া হত না। ফলে ধীরে ধীরে আমার খুব সুন্দর চুল একদমই খারাপ হয়ে যেতে লাগলো। যা এখনো ঠিক হয় নি। লাস্ট ১০ কি ১২ বছর আমি কোন হেয়ার কালার ব্যবহার করিনি। এখন চুলে রং এর জন্য আমি একদমই প্রাকৃতিক উপাদানের উপরে নির্ভরশীল। প্রাকৃতিক উপাদান হয়তো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ডাই বা হেয়ার কালারের মতো এতো পারফেক্ট রং দেয় না, কিন্তু এতে তো আর চুলের ক্ষতি হয় না!



আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে আমার একটা খুব প্রিয় হেয়ার কালারিং করার পদ্ধতি সেয়ার কবো। এই পদ্ধতিতে চুলে লাল বা একটা ডিপ ব্রাউন কালার আসবে, তবে ডিপেন্ড করবে আপনার চুলের ধরনের উপর।

কি কি লাগবে -

চুল রং করার জন্য হেনা বা মেহেদি পাতা হাজার বছর আগে থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। আজও এর ব্যবহার হয়ে থাকে যখন প্রাকৃতিক উপায়ে চুল রং করবার কথা আসে। বাজারে এখন রেডিমেট হেনা পাউডার পাওয়া যায়। অনেকেই আবার বাড়িতে হেনার পাতা শুকিয়ে গুঁড়া করে ব্যবহার করেন। তবে হেনা যাই হোক না কেন, আজকের এই হেয়ার কালার রেসিপির জন্য চাই পরিমাণ মতো হেনা পাউডার, অর্ধেক বিট ও ২ কাপ জল।

কি ভাবে বানাবেন -


হেনা পাউডার আপনার চুল দৈর্ঘ্য অনুশারে নিতে হবে। এবার একটি বিট এর অর্ধেক নিয়ে ছোট ছোট পিস করে কেটে নিতে হবে খোসা সমেত। একটি পাত্রে জল নিন ও তাতে বিটের টুকরোগুলো একসঙ্গে নিয়ে সেদ্ধ করুন। দেখবেন কিছু সময়ের মধ্যেই জল একদম লাল হয়ে গেছে। ৫ মিনিটের মতো রেখে আঁচ  বন্ধ করে দিন। এবার এই গরম বিটের জল ছেঁকে নিয়ে তাতে হেনা পাউডার মিশিয়ে নিন। একটি মোটামুটি ঘন পেস্ট তৈরি করুন।

কিভাবে লাগাবেন -


চুলে লাগানোর কমপক্ষে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে মিশ্রণটি তৈরি করে রাখুন। খুব ভালো হয় যদি সারা রাত ভিজিয়ে রাখা যায়। তাহলে পেস্টটির রংও একেবারে লাল হয়ে আসবে। চুলে লাগানোর আগে তেল দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। ভালো রং পেতে গেলে ৩ ঘণ্টার মতো লাগিয়ে রাখতে হবে। তবে প্রথম প্রয়োগেই যে জাদুর মতো কাজ করবে সেটা ভাবার কোন কারন নেই। পাকা চুলে ২ বার ব্যবহারের পরেই রং ধরে যাবে। তবে স্বাভাবিক চুলে ৪ থেকে ৫ বার ব্যবহারের পরেই রং ধরা পরবে। যাদের চুল একটু পাতলা এবং লালচে ধরনের তাদের দ্বিতীয় বারেই ডার্ক ব্রাউল কালার চলে আসবে।
সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর
কেমন লাগলো আজকের এই টিপস জানাবেন। আর এই সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই পোস্টের নীচে উল্লেখ করতে ভুলবেন না।

টিপসগুলো ভালো লাগলে লাইক ও সেয়ার করুন !



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3 মন্তব্য

  1. নামহীন৯ অক্টোবর, ২০১৫ ৩:২৪ AM

    Where I will get this bit..??

    উত্তর দিনমুছুন
  2. Unknown৩১ মে, ২০১৬ ৬:২১ PM

    ধন্যবাদ এত সুন্দর টিপস শেয়র করার জন্য। বর্তমানে চুলের স্টাইল একটি জনপ্রিয় ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে। আমি এই সকলকে পড়ার জন্য বলবো, আমি আরো একটি সাইট প্রতিদিন ভিজিট করি তাহলো Skin Care Tips

    উত্তর দিনমুছুন
  3. Unknown১৩ মার্চ, ২০২০ ৫:৫৭ PM

    সুন্দর একটা টিপস দেয়ার জ।

    উত্তর দিনমুছুন