শীতকালে ত্বকের শুষ্কতা কাটানোর ঘরোয়া তিনটি প্রতিকার


শীতকালের শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাবের ফলে আমাদের ত্বকে হয়ে উঠে রুক্ষ। হাত ও পায়েও কর্কশভাব অনুভূত হয়। এই শুষ্কতা কাটানোর জন্য ক্রিম, লোশন ব্যবহারের পাশাপাশি ঘরোয়া উপায়গুলিও দারুন ভাবে কাজের। এই রকমই তিনটি উপায় রইল আজকের ব্লগে।  



৮ থেকে ১০ টি  আমন্ড বাদাম সামান্য জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালে  বাদামের খোসা ছাড়িয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন।  এখন এই পেস্ট এর সঙ্গে  কিছু কাঁচা দুধ, চা চামচ  ময়দা মিশিয়ে নিতে হবে। যদি ত্বকে কালো রোদে পোড়া দাগ থাকে তাহলে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার এই মিশ্রণটি আপনার মুখ এবং ঘাড় উপর সমান ভাবে লাগান। ১৫ থেকে ২০  মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে না সঙ্গে সঙ্গে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।

এই তো গেলো মুখের ও ঘাড়ের সমস্যার সমাধান, এবার আসি শরীরে রুক্ষতা কিভাবে দূর করবেন। শরীরের রুক্ষতা দূর করার একটি দারুন প্রতিকার হল কলা ও নারকেল তেল এর প্যাক। 
এই প্যাকটি বানাতে চাই একটা পাকা কলা, ৪ থেকে ৫ চামচ নারকেল তেল, ৩ চামচ ময়দা। একটি পাত্রে কলা ম্যাশ করে নিয়ে এতে নারকেল তেল ও ময়দা খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট বডিতে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখুন। স্নানের পরে দেখবেন ত্বক  চমৎকার ভাবে ময়শ্চারাইজ হয়ে আছে। এই পেস্ট ত্বকের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে করে তোলে নরম। শীতের দিনগুলিতে সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করে দেখুন। ত্বক নিয়ে আর কোন প্রশ্ন থাকবে না। এটি মুখেও ব্যবহার করতে পারবেন। তবে মুখের ত্বক যদি খুব তৈলাত্বক হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে নারিকেল তেলটি বাদ দিন।

শীতকালে যে শুধু শুষ্ক ত্বকের সমস্যার মোকাবেলা করার জন্য প্রতিকার খুঁজতে হয় তা নয়। শীতকালে ত্বককে খুব অনুজ্জ্বল, দ্বীপ্তিহীনও দেখায়। এর জন্য একটি খুব সহজ প্রতিকার হল গ্লিসারিন। 
প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় গ্লিসারিন, গোলাপ জল আর লেবু রসের মিশ্রন ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এই মিশ্রন রেশমী মসৃণ ত্বক পেতে সাহায্য করে। এই প্রকার মিশ্রণ বানিয়ে একটি বোতলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।

কেমন লাগলো আজকের টিপসগুলি জানাবেন। 
টিপসগুলি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্য