ঘৃতকুমারীর ৫ টি অসাধারন ব্যবহার


ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা অত্যন্ত উপকারি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। রূপচর্চা এবং স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর বেশ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও আপনি যদি ঘর সাজাতে সৌখিন হয়ে থাকেন এবং ঘরের ডেকোরেশনে কোন গাছের ব্যবহার করতে চাইছেন, তাহলে অবশ্যই আপনার পছন্দের তালিকায় একটি নাম অ্যালোভেরা হতে পারে।


একটি ঘৃতকুমারী গাছের কোনো অফিসে বা বাড়িতে সবুজের একটি সুদৃশ্য বাতারন সৃষ্টি করতে পারেন। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনার প্রিয় এই ছোট্ট উদ্ভিদটি গৃহ সাজসজ্জা চেয়ে আরও অনেক কিছু্র জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে? আজকের পোস্টে অ্যালোভেরার এই রকম ৫ টি ব্যবহারের কথা বলবো, যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে উপকারে আসতে পারে। 


১। অনেকেই হয় তো শুনেছেন যে ডায়াবেটিস  নিয়ন্ত্রণে ঘৃতকুমারী সেবনের কথা। সত্যি কি এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে সক্ষম হতে পারে? থাইল্যান্ডে এক গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ ঘৃতকুমারী রস রক্তে সৃষ্ট শর্করার মাত্রা নীচে নামাতে সাহায্য করে, যাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস রয়েছে। এর মানে এটা ডায়াবেটিস চিকিৎসায় ভবিষ্যতে হতে পারে।

২। আমরা যে রাসায়নিক ভিত্তিক মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করি তা কিন্তু একেবারেই নিরাপদ নয়। বরং একটি নিরাপদ এবং কার্যকর বিকল্প হতে পারে ভিটামিন সি যুক্ত ঘৃতকুমারী। এটি রক্তপাত বা মাড়ি ফোলা মতো সমস্যা থেকে আপনাকে পরিত্রাণ প্রদান করবে।


৩। খাবার দাবার হজমে সহায়তা এবং শরীরকে দূষণমুক্ত করারমধ্য দিয়ে ঘৃতকুমারী আপনার স্বাস্থ্যের যে প্রাথমিক উন্নতিঘটায় তার অবধারিত ফল হলো ওজন ঠিকঠাক থাকা। এমনিতেওজন কমানো নিয়ে অনেক সমস্যায় থাকলেও নিয়মিতঘৃতকুমারীর রস পান করলে আপনার ওজনের সমস্যা অনেককমে আসবে।


 ৪। ঘৃতকুমারীর রস ফেস ওয়াস হিসাবে ব‍্যবহার করা যায়। এর জন্য এক চামচ ঘৃতকুমারী জেলের সঙ্গে ১ চা চামচ বাদাম দুধ এবং ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এই ফেস ওয়াস সংবেদনশীল ত্বকের জন্য লাভদায়ি।

 ৫। ত্বকের দীপ্তি ও লাবন্য ধরে রাখতে স্ক্রাবিং  এর বিকল্প আর কিছু নয়। ঘৃতকুমারী ত্বককে নরম করে এবং ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ করে, ত্বকের টিস্যু কে টানটান  রাখতে সাহায্য করে। স্কাবার তৈরি জন্য চাই ব্রাউন সুগার অথবা বেকিং সোডা ২ চামচ  এবং ঘৃতকুমারী ৫ থেকে ৬ চামচ। এই মিশ্রন সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করুন। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্য