ঘরোয়া পদ্ধতিতে পিগমেন্টেশন দূর করুন


‘পিগমেন্টেশন’ এই শব্দটা আমাদের কাছে খুব একটা কমন শব্দ, প্রায়ই শুনে থাকি এবং অনেকে এই সমস্যাতেও ভুগছেন। তবে আমরা কি জানি এই সমস্যাটা আসলে ঠিক কি এবং কিভাবে  এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে। আজকের পোস্টে সেই সমস্যার সমাধানটাই খুঁজবো একদম ঘরোয়া উপায়ে। তাই চলো, এবার সেইসব ইনফো একটু জেনে নিই।

আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট নামক কোষ থেকে মেলানিন নিঃসৃত হয় এবং এই মেলানিনের উপরই স্কিনটোন গাঢ় না হালকা হবে সেটা নির্ভর করে। যাদের ত্বকে মেলানিনের আধিক্য থাকে, তাদের স্কিনটোন ডার্ক হয় আর যাদের কম হয় তাদের স্কিনটোন হালকা হয়। কিন্তু অনেকসময় বিভিন্ন রকমের বাহ্যিক (সানবার্ন, বিভিন্ন রকম কেমিকালের প্রভাব) ও শারীরিক কারণে ত্বককোষে এই মেলানিনের মাত্রা বেড়ে যায় বা কমে যায়, ফলে ত্বকে কালো-কালো ছোপ বা পিগমেন্টেশন দেখা যায়। তাহলে বোঝা গেলো পিগমেন্টেশনটা ঠিক কি!

পিগমেন্টেশন দূর করারা জন্য আমারা পার্লারে গিয়ে অনেক রকমের পরিচর্চার করে থাকি এমন কি বিভিন্ন রকমের ক্রিমও বাজার থেকে কিনে আনি যা বেশ খরচ ও সময় সাপেক্ষ। তাই বাড়িতে বসেই পিগমেন্টেশনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার এরমক কিছু ্টিপ্স রইল আপনাদের জন্য, যা বানাতে খুব সামান্য খরচ লাগবে আর এর রেজাল্টও  পাবেন হাতে না হাতে।  
আলু ও পাতিলেবুর রস: 

পাতিলেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড আছে ,যা ত্বকে ব্লিচিংয়ে সাহায্য করে এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে। অন্যদিকে আলুর রস স্কিনটোন হালকা করতে সাহায্য করে। তাই আলুর রসের সঙ্গে কিছুটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সেটা মুখে পিগমেন্টেশনের জায়গায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটি আপনি প্রতিদিন করতে পারে, দিনে একবার করে। এভাবে কিছুদিন করলে সমস্যার সমাধান পাবেন।

লেবু, মধু, কাঁচা দুধ ও কমলালেবুর খোসার মিশ্রণ
শীতকালে  কমলালেবুর খোসা না ফেলে, সেই খোসা  শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এর পর এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস, মধু ও পরিমাণ মতো কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে ও গলায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে নেবে্ন। লেবুর রস ত্বক ব্লিচ করে এবং মধু ও দুধ ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।


মুলতানি মাটি ও পেঁপের প্যাক: 
আধ কাপ মুলতানি মাটির সঙ্গে দু’টেবল চামচ পেঁপের পেস্ট মিশিয়ে নিন। এর পর এই  মিশ্রণে  একটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিয়ে ভাল করে একটা প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ভাল করে ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে দু’দিন করলে পিগমেন্টেশনের সমস্যা চলে যাবে।


চন্দন, টোম্যাট   শসার রসের মিশ্রণ: 
চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে কিছুটা টোম্যাট ও শসার রস মিশিয়ে সেই প্যাক মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন। এই পদ্ধতি সপ্তাহে ৩ দিন করলে রেজাল্ট দেখতে পাবেন।
আমন্ড ও মধুর প্যাক: 
এক টেবল চামচ আমন্ড বাদামের গুঁড়োর সঙ্গে এক টেবল চামচ মধু ও পাতিলেবুর রস মিশিয়ে একটা প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে উষ্ণ জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের দাগও চলে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল ও নরম হবে।

কেমন লাগলো আজকের এই টিপস অবশ্যই জানাবেন এবং মনে কোন প্রশ্ন থাকলে নীচের মন্তব্য বাক্সে অথবা ফেসবুক পেজে আপনার প্রশ্ন করুন। আর যদি আপনার এই লেখাটি পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে নীচের সোশাল মিডিয়া বোতামগুলির মাধ্যমে বন্ধুদের এবং পরিবারের সাথে এটি সেয়ার করে নিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্য